নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা:- তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের ক্লাবের জুয়ার ঠেকে পুলিশের হানা। প্রতিবাদের পাল্টা থানা ঘেরাও তৃণমূলের। যে ঘটনা কে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য। প্রতিবাদ কর্মসূচিতে উপস্থিত পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা। যদিও সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা দেখে ১৮০ ডিগ্রি অবস্থান পরিবর্তন। অন্যদিকে তৃণমূল নেতৃত্বর দাবি এখানে নেতারা তেমন ভাবে উপস্থিত ছিলেন না। তীব্র আক্রমণ বিজেপির। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরে তেতুলবাড়ির স্থানীয় একটি ক্লাবে সোমবার রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার এএসআই বিকাশ শুক্লার নেতৃত্বে হানা দেয় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে যেখানে জুয়ার ঠেক এবং মদের আসর চলছিল। তখন জুয়ার ঠেক এবং মদের আসরে তৃণমূল নেতা বাবলু কর্মকার ছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়। পুলিশ হানা দিতেই সকলে পালিয়ে যায়। আর এই ক্লাবের দায়িত্বে রয়েছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বাবলু কর্মকার। যিনি স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেনের ভাই জম্মু রহমান ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত এলাকায়। এর আগেও জমি দখলে নাম জড়িয়ে ছিল এই তৃণমূল নেতার। তারপরে এদিন সন্ধ্যায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে থানা ঘেরাও করা হয়। বিক্ষোভ দেখানো হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা স্বপন আলী। যদিও সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে কোন মন্তব্য করেন নি তিনি। সম্পূর্ণ ১৮০ ডিগ্রী ঘুরে গিয়ে দাবি করেন তিনি ব্যক্তিগত কাজে এসে ছিলেন। এ দিকে এই ঘটনা নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লক তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি সাহেব দাস জানান এখানে তেমন ভাবে কোন নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন না। কিন্তু পুলিশ জুয়ার ঠেক এবং চটুল নাচের আসর রুখতে প্রত্যেক ক্লাবকে সতর্ক করে ছিল। এই ধরনের কর্মসূচি নিয়ে ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব কিছু জানতো না। প্রশাসন নিজের কাজ করবে। যদিও তৃণমূল সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করলেও বিজেপি এই নিয়ে তীব্র আক্রমণ করেছে। বিজেপির অভিযোগ তৃণমূল পুলিশকে নিজের দলদাস ভাবে। পুলিশ কখনো ভালো কাজ করলে এমন রূপ নেয়। সাথে আরো বিস্ফোরক দাবি বিভিন্ন জুয়ার ঠেক থেকে টাকা যায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে। সমগ্র ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ব্যাপক চাঞ্চল্য রাজনৈতিক মহলে। চরম অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসকদল।