বিজেপি পঞ্চায়েতের পরিবার আবাসের বাড়ি পেলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে ।

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার হাউর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার স্থানীয় বিজেপি নেতা প্রদীপ বরের স্ত্রী দেবশ্রী বর পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত পদে রয়েছেন। তার আগে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে থাকাকালীন প্রদীপ বর এর পরিবার আবাস যোজনার জন্য আবেদন জমা দিয়েছিলেন, লিস্টে নাম থাকলেও পরক্ষণে তাঁরা জানতে পারেন তাঁদের পরিবারকে আবাস যোজনার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর আগে স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি শেষমেষ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর শরণাপন্ন হতেই পেলেন আবাস যোজনার বাড়ি।
প্রদীপ বর,অরুন বর,পঙ্কজ বর তিন ভাই সহ মোট ১৩ জন সদস্যের পরিবার দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরের পুরানো ভাঙাচোরা দোতলা মাটির বাড়িতেই এক ছাদের নিচে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বসবাস করছেন তাঁরা। বাড়ির পেছন দিকের দেওয়াল জরাজীর্ণ অবস্থা, ঘরের ভেতরে বিভিন্ন দেওয়ালে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। একপাশে হেলে রয়েছে শোবার ঘরের বড় দেওয়াল, ঘরের ছাদের মাটির বারান্দায় চলাফেরা করলে মাটি খসে খসে পড়ে নিচের ঘরে। বর্ষার সময় মাটির ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ে। একপ্রকার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অ্যাজবেস্টর দেওয়া ওই মাটির বাড়িতেই বসবাস ওই তিনটি পরিবারের।
ওই গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে থাকাকালীন আবেদন করেও সুরাহা মেলেনি তাঁদের। ২০২৩ এ পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে যায় এমনকি ওই পরিবারের গৃহবধূ তথা প্রদীপ বরের স্ত্রী দেবশ্রী বর বিজেপির হয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য হন তিনি। তবে রাজ্যে শাসকদল হিসেবে তৃণমূল ক্ষমতায় রয়েছে, সে কারনেই কি এতদিন আবাস যোজনা থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছিল তাঁদের। তবে কি স্থানীয় প্রশাসনের ওপর আস্থা হারিয়েই সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর
“দিদিকে বলো” হেল্প লাইন 91370-91370 নং এ ফোন করতে বাধ্য হলেন ওই বিজেপি পরিবার। আবাস যোজনার বাড়ি পাওয়ার জন্য আবেদন করে মুখ্যমন্ত্রীর দিদিকে বলো হেল্প লাইনে ফোন করতেই সার্ভের পরে ওই বিজেপি পরিবারের তিন ভাইয়ের নামেই আবাস যোজনার বাড়ি আসে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তিনি সকলের মুখ্যমন্ত্রী, তবে কি মমতাময়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক ভেদাভেদ দূরে সরিয়েই বিজেপি পঞ্চায়েতের পরিবারের পাশে থাকলেন! সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে বাংলা আবাস যোজনার বাড়ি পেয়েই আপাতত খুশি ওই বিজেপি পরিবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *