পেট চালাতে পরিযায়ী তকমা নিতে হচ্ছে আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামের বাসিন্দাদের।।।

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা–– জীবন সংগ্রাম করে কোনক্রমে দু’বেলা দুই মুঠো খাবার কোন ক্রমে সংগ্রহ হয়। তবুও দেশে থেকে মেলেনা কাজ, তাই বাধ্য হয়েই পেট চালাতে পরিযায়ী তকমা নিতে হচ্ছে আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামের বাসিন্দাদের। পেটের দায়ে ঘরে তালা ঝুলিয়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে সামান্য দিনমজুরের কাজে। অধিকাংশ পরিবারই সকলে মিলে ভিন রাজ্যেই কাজ করছেন। ছোট থেকেই জীবন সংগ্রাম শিখছে আদিবাসী গ্রামের শিশুরা। তাদের কাছে পড়াশোনা যেন বিলাসবহুল। পেটের খিদে মেটাতে বাবা মার সঙ্গে তারাও বেড রাজ্যের শ্রমিকের কাজ করছে। অনেকের বাবা-মা ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের আত্মীয় পরিজনদের কাছে রেখে যাচ্ছেন ঠিক কিন্তু তারাও যেন জীবন সংগ্রাম করেই নিজেদের পেটের আহার রোজগার করছে। তাদের কাছেও সম্ভব হয়ে উঠছেনা পড়াশোনা। এমনই এক চিত্র ফুটে উঠেছে মালদার গাজোল ব্লকের কাজল ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ফতেপুর ,মালপাড়া ,মাহালিপাড়া আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামের*। গ্রামের প্রায় ২০০ শতাংশ পরিবার বসবাস হলেও প্রায় দেড়শ পরিবার ভিন রাজ্যের শ্রমিকের কাজে পাড়ি দিয়েছে। গ্রামে এখন পর্যন্ত নেই মাধ্যমিক পাস কোন ব্যক্তি। এমন কাম রয়েছে মালদায় যা শুনলে আপনি অবাক হবেন। তবে বাস্তব এমনটাই।

ঘটনা গাজোল -২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার আদিবাসী অধ্যুষিত ফতেপুর ,মালপাড়া, এবং মাহালি পাড়ার। পাড়া মিলিয়ে প্রায় ২০০ পরিবার বসবাস করে। প্রায় দেড়শ পরিবার ভিন রাজ্যে কাজ করে। পেটের তাগিদে তাই দুবেলা দুমুঠো অন্য সংস্থানের জন্য করতে হয় দিনমজুরের কাজ। এলাকায় কাজ নেই তাই তাদের বাইরে যেতে হয়। বাইরে যেতে গেলে , ছেলে-মেয়েদেরকে কে দেখবে তাই তাদেরকেও বাইরে নিয়ে যেতে হয়। সে ক্ষেত্রে পড়াশোনা হয় না ছেলেমেয়েদের l আর এই কারণেই লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত ছেলেমেয়েরা।

গাজোল -২ গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি প্রধান উর্মিলা রাজবংশীর বক্তব্য – দুর্ভাগ্যের হলেও বিষয়টি সত্যি। আমার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বহু আদিবাসী গ্রাম এখনো শিক্ষার আলো থেকে অনেক দূরে। সরকার থেকে কোন কাজের সুযোগ-সুবিধা পায় না এলাকার মানুষ এলাকায় কাজ নেই। পেটের তাগিদে ছেলেমেয়েদের নিয়ে অনেকেই পাড়ি জমান ভিন রাজ্যে।তাই লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত থাকে শিশুরা। এই বিষয় নিয়ে অভিভাবকদের সচেতন করার কাজ করছি। কিন্তু এখনো তেমনভাবে সফল হইনি। তবুও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
তৃণমূল পরিচালিত গাজল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন জানান প্রথমত এই বিষয়টি আমার জানা নেই তবে এলাকার আদিবাসীরা কেন ভিন্ন রাজ্যে কাজ করতে যাচ্ছে তারা সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে কিনা বিষয়টি আমি খোঁজখবর নিয়ে দেখব আমাদের মুখ্যমন্ত্রী আদিবাসীদের জন্য অনেক কাজ করছেন কিন্তু সেখানে আদিবাসী ছেলে মেয়েরা পড়াশোনা করতে পারছে না বিষয়টি আমি ব্লক প্রশাসনের আক্ষরিকদের নিয়ে গ্রাম পরিদর্শন করব । আর বিজেপি বিরোধী দল এরা খালি সমালোচনা করতেই ব্যস্ত l গাজোল ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে তারা কেন বিষয়টি নিয়ে কিছু করিনি, l গাজোল ব্লকের বিডিও সুদীপ্ত বিশ্বাস জানান এই বিষয়টি আমাদের নজরে নেই তবে এটার কি সত্যতা রয়েছে সেটা দেখা হবে । যদি এরকম কোন ঘটনা তাকে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *