নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা—-আবারো কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েতের এক কর্মী সহ পঞ্চায়েত সেক্রেটারির বিরুদ্ধে।কুড়ি হাজার টাকা না দিলে তোলা হবে না ঘরের ছবি মিলবে না দ্বিতীয় দ্বিতীয় কিস্তির টাকা। আবাস যোজনার ঘর তৈরির দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢোকাতে কাটমানি চাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পঞ্চায়েত কর্মী ও সেক্রেটারি বিরুদ্ধে । কুড়ি হাজার টাকা কাটমানি দাবী করার অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েতের এক কর্মী সহ পঞ্চায়েত সেক্রেটারির বিরুদ্ধে। ঘটনাকে ঘিরে জোর চাঞ্চল্য ছড়াল মালদার মানিকচকের মথুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।জানা গেছে, মানিকচক ব্লকের মথুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি পরিচালিত। এই পঞ্চায়েতের ঘোষালদি এলাকার বাসীন্দা, সোনিয়া মন্ডলের দাবী, তিনি আবাস যোজনার তালিকায় তার নাম আছে। প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকাও পেয়েছেন তিনি। সেই টাকায় বাড়ির আংশিক কাজ করেছেন। এরপর দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ঢোকার পালা।সেই পরিস্থিতিতে এরমধ্যেই বৃহস্পতিবার মথুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মী কৃষ্ণ মন্ডল এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের সেক্রেটারী সামিউল হক,ওই মহিলার বাড়িতে আসেন। এবং তারা দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢোকানোর জন্য প্রথমে ২০ হাজার টাকা দাবী করেন।সোনিয়া মন্ডল তিনি বলেন অত টাকা তার কাছে না থাকাই তিনি বলেন এত টাকা আমার কাছে এখন নেই আপনারা ছবি করে যান পরে টাকা ঢুকলে দিয়ে দেব।এই কথা বলার পরেও তারা শেষমেশ ১৫ হাজার টাকা দাবী করেন এবং দাবী মতো টাকা না পেলে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ঢুকবে এবং ছবি তোলা হবে না বলে জানান।এই ঘটনার পর বিধবা মহিলা সোনিয়া মন্ডল মানিকচক বিডিও অফিসের দ্বারস্থ হন। তিনি গোটা ঘটনা জানিয়ে পঞ্চায়েত কর্মী কৃষ্ণ মন্ডল এবং পঞ্চায়েত সেক্রেটারী সামিউল হকের বিরুদ্ধে মানিকচক বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জানান বলে খবর। যদিও মহিলার তোলা অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবী করেছেন মথুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সেক্রেটারী সামিউল হক। তার বক্তব্য, ওই মহিলা প্রথম কিস্তির টাকা পেলেও বাড়ির কাজ শুরু করেন নি। তাই কাজ শুরু করার কথা বলে চলে এসেছেন।ওই মহিলা জানান অর্ধেক ঘর তোলা হয়েছিল প্রথম কিস্তির টাকায় ধার করে টাকা নিয়ে পুরনো টিন ঘরের চাল দিয়ে বর্তমান থাকার মত যোগ্য করে তুলেছেন দ্বিতীয় কিস্তির পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন এরই মধ্যে দ্বিতীয় কিস্তি টাকা না দিলে মিলবে না ঘর যাদের চিন্তায় ভেঙে পড়েছে সোনালী মন্ডল নামে ঐ মহিলা। এখন প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে এমনটা জানিয়েছেন ওই মহিলা।
কুড়ি হাজার টাকা না দিলে তোলা হবে না ঘরের ছবি মিলবে না দ্বিতীয় দ্বিতীয় কিস্তির টাকা, অভিযোগ পঞ্চায়েত কর্মী ও সেক্রেটারি বিরুদ্ধে ।

Leave a Reply