স্বামীর বিরুদ্ধে টাকা তছরূপের অভিযোগ।

পূর্ব বর্ধমান, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীঃ- স্বামীর বিরুদ্ধে টাকা তছরূপের অভিযোগ তুলে বর্ধমান থানার দ্বারস্থ হলো স্ত্রী। অভিযুক্ত স্বামীর নাম বাপি শেখ, সে পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। জানা গেছে অভিযুক্ত বাপি শেখের সাথে শর্মিলা খাতুনের বিয়ে হয় ২০২১ সালে। শর্মিলা খাতুনের বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার বেলকাশ অঞ্চলের নলা শ্যামসুন্দরপুর।পরিবারের ছোট মেয়ে শর্মিলা। অভিযোগ বিয়ের পরে কাজের নাম করে টাকার চাপ দেয় অভিযুক্ত বাপি শেখ তার স্ত্রী শর্মিলা খাতুন কে। শর্মিলা খাতুন স্বামীর মুখ চেয়ে চারটি লোন সংস্থা থেকে চল্লিশ হাজার করে এক লক্ষ ষাট হাজার টাকা লোন নিয়ে স্বামী বাপি শেখের হাতে তুলে দেয়। কন্ট্রাকটের একটি কাজ করার নাম করে সেই লোন বাবদ টাকা নিয়ে নেয় অভিযুক্ত বাপি। স্ত্রী শর্মিলা খাতুন আরও অভিযোগ করে জানায় একটি বাইক ও তার নামে লোন করে নেয় তার স্বামী বাপি শেখ। লোনের টাকা পরিশোধ তো দূরের কথা, কয়েক লক্ষ টাকা দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে হাতিয়ে গা ঢাকা দেয় অভিযুক্ত স্বামী। যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় স্বামী- স্ত্রীর। রাত যায় দিন আসে পরিবারের সাথে যোগাযোগ দূর অস্ত, একটা ফোন ও করেনি বলে অভিযোগ স্ত্রী শর্মিলা খাতুনের। চাপ বাড়তে থাকে লোন পরিশোধের। বাড়িতে পঙ্গু বাবা। দিশেহারা হয়ে পরে বাড়ির ছোট মেয়ে শর্মিলা খাতুন। অনেক খোঁজাখুঁজি কিন্তু কোনোভাবেই পাত্তা পাওয়া যায়নি তার স্বামীর। অবশেষে বিশেষ সূত্র মাধ্যমে খবর পায় স্ত্রী শর্মিলা, স্বামী বাপি শহর বর্ধমানে মহিন্দ্র কোটাক ব্যাংকে রাজমিস্ত্রির কাজে যুক্ত আছে। খবর পেতেই হাজির হয় শর্মিলা সহ পঙ্গু বাবা ও পরিজনেরা। বাপি কে ধরার চেষ্টা করলেও সেই হাতছাড়া হয় সেই সুযোগ। কোনোভাবে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। মাথায় হাত পরে একরাশ আশা নিয়ে আসা শর্মিলা সহ পরিবারের। শর্মিলার অভিযোগ অভিযুক্ত স্বামীকে কোনোভাবে বাইরে পালাতে সাহায্য করে সেখানকার কর্মরত নিরাপত্তা রক্ষী। কিন্তু অভিযোগ অস্বীকার করেছে নিরাপত্তা রক্ষী সুব্রত ধারা।
অবশেষে বর্ধমান থানার দ্বারস্থ হয় শর্মিলা খাতুন। তাদের দাবি লোনের টাকা পরিশোধ করুক অভিযুক্ত স্বামী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *