সাত বিঘার বেশি ভুট্টা একেবারে নষ্ট করে দিল হাতির দল।

পশ্চিম শালকুমার, নিজস্ব সংবাদদাতা:- রাতে একদিকে যখন মুষলধারে বৃষ্টি গোটা এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন কালো অন্ধকারে ঢেকে গিয়েছে চারিদিক। ঠিক তখন রাত প্রায় বারোটা ফালাকাটা ব্লকের পশ্চিম শলকুমার কুমার গ্রামে একযোগে প্রায় কুড়িটি হাতি হানা দেয় মহাবীর ওরাও এর ভুট্টা খেতে। দুই তিন ঘণ্টার মধ্যে প্রায় কুড়িটি হাতির একটি দল বৃদ্ধ মহাবীর ওরাও এর সাত বিঘারও বেশি ভুট্টা ক্ষেত একেবারে তছনছ করে দেয়। গাছে ভুট্টার ফলন ধরেছে যতটুক না খেয়েছে তার থেকে ১০ গুণ বেশি ভুট্টা গাছ হাতি পা দিয়ে মারিয়ে দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মহাবীর ওরাও বলেন আমার সাত বিঘার বেশি ভুট্টা একেবারে নষ্ট করে দিল হাতির দল। ঋণ নিয়ে ভুট্টা চাষ করেছিলাম। কি করে ঋণ শোধ করব ভেবেই পাচ্ছিনা। রাত বারোটা নাগাদ প্রায় কুড়িটি হাতির একটি দল আমার ভুট্টা ক্ষেতে হানা দেয় প্রায় তিন ঘন্টা হাতির দল তান্ডব লীলা চালিয়ে রাত তিনটা নাগাদ জঙ্গলে ফেরে। অভিযোগ বনকর্মীদের দেরি করে আসা নিয়ে, স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ রাত্রি বারোটা নাগাদ হাতির দল গ্রামে ঢুকলেও বনকর্মীরা অনেক দেরি করে আসেন। বন কর্মীর আরো আগে আসলে এতটা হয়তো ক্ষয়ের ক্ষতি হতো না। অন্যদিকে মেহতাব হোসেনের এক বিঘা জমির টমেটো ক্ষেত তছনছ করে দেয়। মেহতাব বাবুর ও একই অভিযোগ সময়মতো বন কর্মীরা আসলে ক্ষয়ক্ষতি কম হতো। অন্যদিকে মাদারিহাট হাটের রেঞ্জার শুভাশিস রায়কে ফোন করা হলে তিনি বলেন ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা সরকারি নিয়ম মেনে আবেদন করলে তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। অন্যদিকে বন কর্মীদের দেরিতে আসার বিষয়টি রেঞ্জার শুভাশিস রায় খারিজ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন বনকর্মীদের ফোনই করা হয়নি। বনকর্মীদের দল সেই এলাকার আশেপাশেই ছিল। আমাদের টহলদারি টিম নিজেরাই সেখানে গিয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *