খাঁচাবন্দি করতে পাতা হয় লোহার খাঁচা,আর সেই খাঁচায় চিতাবাঘ নয়,বন্দি হলো তিন তিনটি কুকুর।

ফালাকাটা, নিজস্ব সংবাদদাতা:- হ্যাঁ ঠিক এই ঘটনাই ঘটলো ফালাকাটা ব্লকের খাউচাঁদ গ্রামে।বাড়ির ঘরের বেড়া ফুটো করে ঘর থেকে ছাগল নিয়ে যাচ্ছে চিতা বাঘ।কখনও গরুর বাছুরের উপর থাবা বসাচ্ছে চিতাবাঘ। যারপরণাই আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা।
গ্রামে চিতার বাঘের গবাদি পশুর উপর আক্রমণের কথা জানতে পেরে খাউ চাঁদ পাড়া তিন বিঘা সংলগ্ন চা বাগান ঘেরা বড় মাঠে ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচা পাতে বনো দপ্তর। রবিবার ছাগলের টোপ গিলতে খাঁচায় ঢোকেনি চিতা।সোমবার সন্ধ্যায় টোপ বদলায় বনদপ্তর ছাগলের পরিবর্তে খাঁচায় টোপ হিসাবে দেওয়া হয় একটি কুকুর।কিন্তু সকালে এলাকার বাসিন্দারা চা বাগান ঘেরা মাঠে গিয়ে দেখতে পান চিতা বাঘ নয়,বাঘ ধরার খাঁচায় বন্দী হয়ে আছে এলাকার তিন তিনটি কুকুর।যা দেখে তাদের চক্ষু চড়কগাছ।সন্ধ্যায় পাতা খাঁচায় হয়তো সকালে চিতা বাঘ বন্দি হয়েছে এই দৃশ্য দেখার জন্য মুখিয়ে ছিল এলাকার বাসিন্দারা।চিতা বাঘ খাঁচাবন্দি হলে অনেকটা স্বস্তি ফিরতো এলাকায়।সে আর হলো না,এখন অপেক্ষা ছাড়া ছাড়া আর উপায় নেই।আজ থেকে প্রায় তিন দিন আগে সঞ্জীব দাসের বাড়ির ঘরে ঢুকে মুখে ছাগল নিয়ে চা বাগানের দিকে দৌড় দেয় চিতাবাঘ। চিতা ঘর থেকে ছাগল নিয়ে যাচ্ছে বিষয়টি আঁচ করতে পারেন ইয়ং ছেলে সঞ্জীব এক হাতে ট্রচলাইট আর এক হাতে ছোট একটা বাঁশের কঞ্চি নিয়েই চিতা বাঘের পিছু ধাওয়া করে।আর তাতেই কেল্লা ফতে মুখ থেকে ছাগল ছেড়ে দিয়ে জঙ্গলে ঢুকে যায় চিতাবাঘটি।ছাগল উদ্ধার করতে এগিয়ে যেতেই দেখতে পান সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে জঙ্গলের গজরাজ ।সঙ্গে সঙ্গে এক ছুটে বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছান সঞ্জীব দাস। তবে ছাগলকে ছেড়ে নয় ছাগলটিকে নিয়ে।
উল্লেখ্য কয়েক দিন আগেই এই এলাকাতেই হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয় ২৬ বছরের এক তরতাজা যুবকের।বন দপ্তর যোগাযোগ করলে জানা যায়,এলাকায় চিতার উপদ্রপের কথা জানতে পেরেই চিতা বন্দি করতে খাঁচা পাতে বনদপ্তর।ছাগল এবং কুকুর চিতা বাঘের পছন্দের খাবার।তাই কুকুর ও ছাগল দিয়ে টোপ দেওয়া হয়।যে কুকুরগুলি চিতা বাঘের খাঁচায় বন্দী হয়ে ছিল সেগুলিকে মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।তবে এলাকায় আরো কয়েকদিন খাঁচা পাতা হবে বলে জানায় বন দপ্তর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *