নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ- —-মন্ত্রী এলাকায়
হাসপাতালের বেহাল দশা। যে হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান আবার এলাকার বিধায়ক এবং মন্ত্রী।সেখানেই নেই কোনো পরিকাঠামো। সঠিক ভাবে মিলছে না ওষুধ,নেই পানীয় জল,শৌচালয় ব্যবহারের অযোগ্য। হাসপাতালের ভেতরে ঘুরে বেড়াচ্ছে কুকুর বেড়াল।চূড়ান্ত দুর্ভোগে রোগীরা।হুঁশ নেই প্রশাসনের। হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ বিজেপির। সাফাই মন্ত্রীর। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের বেহাল এই পরিস্থিতির ছবি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।এই হাসপাতালের উপর হরিশ্চন্দ্রপুর ১ এবং ২ নম্বর ব্লকের কয়েক লক্ষ মানুষ নির্ভরশীল।প্রত্যেকদিন তিনশো থেকে চারশো রোগী হাসপাতালে আসে।সেখানে বেড মাত্র ৬৫টি। রোগীদের অভিযোগ পুরুষ এবং মহিলা বিভাগ আলাদা থাকছে না। যার ফলে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন মহিলারা। হাসপাতালে কোন নিরাপত্তা রক্ষীও নেই।হাসপাতালের অভ্যন্তরের ছবি দেখলে আঁতকে ওঠার পরিস্থিতি। নল থেকে পড়ছে না জল। চারিদিকে আগাছা। শৌচালয়ের পরিস্থিতি আরো ভয়ানক। ভেতরে নেই আলো। হাসপাতালের অভ্যন্তরেই আবর্জনা। পড়ে থাকছে ব্যবহৃত ইনজেকশনের সিরিঞ্জ। রোগীরা পাচ্ছে না বেডের চাদর। আরো অভিযোগ বেশির ভাগ ওষুধ কিনতে হচ্ছে বাইরে থেকে। এই হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন। প্রশ্ন উঠছে মন্ত্রী মশাই কি হাসপাতালের এই বেহাল পরিস্থিতি নিয়ে জানেন না। না কি নেই উন্নয়নের সদিচ্ছা। রোগীদের প্রশ্ন নেতাদের অসুখ হলে তাদের টাকা আছে। কিন্তু সরকারি হাসপাতালের এমন পরিস্থিতি হলে গরিব মানুষ কোথায় যাবে। ব্লক স্বাস্থ্য প্রশাসন এই সমস্যার কথা মেনে নিচ্ছে। তাদের দাবি রোগীর তুলনায় বেড অনেক কম বলেই সমস্যা। হাসপাতালে সীমানা প্রাচীর না থাকার কারণে কুকুর ছাগল ঢুকে পড়ছে। বিজেপির অভিযোগ হাসপাতালে যে ওষুধ আসছে সেই ওষুধ রাতা রাতি বাইরে বিক্রি হচ্ছে। এই পরিস্থিতির জবাব মানুষ দেবে। সমগ্র বিষয় নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতোর।
হাসপাতালের অভ্যন্তরের ছবি দেখলে আঁতকে ওঠার পরিস্থিতি, হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান আবার এলাকার বিধায়ক এবং মন্ত্রী, সেখানেই নেই কোনো পরিকাঠামো।

Leave a Reply