হূগলী, নিজস্ব সংবাদদাতা:- আরামবাগ ব্লকের অনুন্নয়নের পঞ্চায়েতের তালিকায় আর এক নাম বাতানল পঞ্চায়েত। হুগলি জেলার বৃহত্তম পঞ্চায়েত হিসেবে পরিচিত এই পঞ্চায়েত। অনুন্নয়নেও বৃহৎ। দিকে দিকে মানুষের অভিযোগ রাস্তা নেই, বিশুদ্ধ পানীয় জলের লাইন হয়ে পড়ে রয়েছে,জল নেই। ভালিয়ার পসাদিঘি পার এলাকার মানুষজন যে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন, সেটাকে আদৌ রাস্তা বলা যায় কিনা জানা নেই। এক হাঁটু কাদা পেরিয়ে শিশু থেকে বৃদ্ধ বৃদ্ধা সকলকে নিজেদের প্রয়োজনে যাতায়াত করতেই হয়। দীর্ঘ দিন ধরে পঞ্চায়েতের নজরে এনেও কাজ হয়নি। প্রধানকে বারবার ফোন করেও স্যুইচ অফ থাকায় না পেয়ে এলাকার শাসকদলের অঞ্চল সভাপতির কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান জেলার বৃহত্তম পঞ্চায়েত বাতানল পঞ্চায়েত, কিন্তু বছরে মাত্র এক কোটি করে টাকা আসে আর ২৬ জন মেম্বারকে এলাকার উন্নয়নে কাজ করার জন্য দিতে হয়। তাঁরা যে টাকা পান তার মাত্র ৩০ শতাংশ টাকা খরচ করতে পারেন। পথশ্রীর রাস্তার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে কিন্তু তাও হচ্ছে না। সেগুলো অনুমোদন হয়ে গেলে একটা রাস্তাও আর খারাপ থাকবে না। তিনি এও জানান, যথেষ্ট উন্নয়ন করা হয়েছে তবুও এখনও অনেক সমস্যা আছে ফলে ২০২৬ এ ভোট চাইতে যাবেন কিভাবে সে নিয়েও তারা চিন্তিত। আর পানীয় জলের লাইন হয়ে পড়ে রয়েছে জল নেই এটা একটা বড়ো সমস্যা, এর জন্য পিএইচই দপ্তরে বারবার তাঁরা জানানো স্বত্ত্বেও দপ্তর গুরুত্ব দিচ্ছে না। অঞ্চল সভাপতির বক্তব্যে পরিষ্কার পসাদিঘি পার এলাকার মানুষজনের ভাগ্যে ভোগান্তির নিরসনের কোনো পথই নেই। দেখুন কোন রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয় স্থানীয় মানুষজনকে। ভোট উৎসব আসে যায় , মানুষের জীবন যন্ত্রনার অবসান হয়না।
আরামবাগ ব্লকের অনুন্নয়নের পঞ্চায়েতের তালিকায় আর এক নাম বাতানল পঞ্চায়েত।

Leave a Reply