দক্ষিণ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- এক তপশিলি জাতি মালো শ্রেণীভুক্ত পরিবারকে ভিটে ছাড়া করার জন্য বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানার বসন্তা গ্রামে।
ঘটনার এক সপ্তাহ কেটে গেলেও এমনকি হিলি থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েও এখনো অভিযুক্তরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেরানোর পাশাপাশি বিষয়টি হিলি থানা পুলিশকে অভিযোগ জানানোর অপরাধে এখনো ওই মালো পরিবারকে লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ মালো পরিবারের। গত ১২ ই আগস্ট হিলি থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়ে বসনতা গ্রামের লক্ষী মালো জানিয়েছেন যে বাড়ির পাশে একটি ফাঁকা চার শতক জায়গা এমনকি বসত ভিটে থেকে উচ্ছেদ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চক্রান্ত চালিয়ে আসছে প্রতিবেশী কয়েকজন যুবক। তিনি বলেন তাদের কথায় রাজি না হওয়ার জন্য গত নয় আগস্ট বুধবার রাত্রি প্রায় এগারোটা নাগাদ প্রতিবেশী কয়েকজন যুবক বাড়িতে দরজা ভেঙ্গে ঢুকে আমার স্বামী দিলীপ মালকে বেধড়কভাবে মারধর করা হয়। এমনকি স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে তাহাকে ছিল তখনই করা হয় বলে অভিযোগ।। চরম অসুস্থ এবং আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাধা দেওয়া হয় তিনি এমনটাও জানান তিনি। তাহার আরো অভিযোগ যে পরবর্তীতে তিনদিন পর স্বামীকে হিলি গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা করায়। এবং ওই দিনই হিলি থানাতে চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ দায়সারা ভাবেথানার মুকুল বাবু প্রাথমিক তদন্ত করেই চুপ চাপ থাকে।তিনি বলেন অপরাধীদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। এখন চরম দরিদ্রতা সঙ্গে লড়াই করে স্বামীর চিকিৎসা করাবেন নাকি এই গ্রাম থেকে ভিটে ছাড়া হয়ে যাবেন সমস্ত বিষয় নিয়েই মানসিক মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন লক্ষী মালো ও তাহার পরিবার।দিলীপ মালো বলেন যে তাদের মারের আঘাতই আমি এখনো অসুস্থ বাড়ির পাশে কিছু জমি কিনে নেওয়ার জন্য বারবার প্রস্তাব দিয়ে আসছিল প্রতিবেশীরা। তাদের কথায় রাজি না হওয়ার কারণেই মারধোর করা হয় বলে অভিযোগ তাহার। পার্শ্ববর্তী এক বৃদ্ধ রথীন মালো জানিয়েছেন যে আচমকারী প্রতিবেশী কয়েকজন যুবক দিলীপের বাড়িতে ঢুকে দরজা ভেঙ্গে তাকে মারধর এবং বাড়ি থেকে টেনে হিচড়ে নিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি দেখে হত ভম্ভ হয়ে যায়। তিনি বলেন অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। যদিও এক অভিযুক্তের মা রঞ্জনা সরকার জানিয়েছেন যে এমন ঘটনা ঠিক নয়। দিলীপ মালো তাদের বাড়িতে এসে ঘরে ঢুকে পড়ে। সেই কারণেই গন্ডগোল বলে তিনি জানিয়েছেন। হিলি থানার আইসি গণেশ শর্মা জানিয়েছেন যে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।
অভিযোগ জানানোর এক সপ্তাহ কেটে গেলেও অভিযুক্তরা বুক ফুলিয়ে ঘুরছে। এমনকি অভিযোগকারীকেই শাসানি এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগকারীর।
Leave a Reply