কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা! লালবাজারে অভিযোগ, আতঙ্কে পেট্রোল পাম্প কর্তৃপক্ষ।

হাওড়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- ফের সামনে এলো শাসকদলের দৌরাতের ছবি। ফুল বাগানের একটি পেট্রোল পাম্পের তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইনটিটিইউসির বিরুদ্ধে পেট্রোল পাম্পের ম্যানেজার এবং মালিককে মারধরের অভিযোগ। এবং সেই সময় পুলিশ অধিকারীরা থাকলেও তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছেন কোন রকম ব্যবস্থা নেননি এমনটাই অভিযোগ পেট্রোল পাম্পের মালিকের। পেট্রোল পাম্পের মালিক তিনি জানান বেশ কয়েকদিন আগেই তাদের পুরনো যেসব কর্মচারীরা ছিলেন তারা কর্ম বিরতির ডাক দেন এবং তারা বলেন তাদের দাবি না মানা হলে পেট্রোল পাম্প বন্ধ করে দেয়া হবে। তাদেরকে কাজে যোগদান করতে বলা হলো তারা কোনো রকম ভাবেই কাজে যোগদান করতে চাননি। এবং তারপরে গোটা বিষয়টি নিয়ে পেট্রোল পাম্পের মালিক সুমনা দাস রায় তিনি লালবাজারের দ্বারস্থ হন হাইকোর্ট একটি মামলা ও দায়ের করেন। সেখানেই নির্দেশ দেয়া হয় যাতে পেট্রোল পাম্পের মালিক তিনি নতুন কর্মচারী নিয়োগ করেন এবং পরবর্তীতে পুরনো কর্মচারীরা এসে যদি কোন রকম সমস্যা সৃষ্টি করে তাহলে সেই বিষয়টিতে যাতে পুলিশ আধিকারিকরা করা নজরদারি করেন এমনটাই কিন্তু নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। মালিকের অভিযোগ কত এক মাস আগে এই এলাকারই আইএনটিটিইউসির নেত্রী বলে দাবি করার এক মহিলা কবিতা দাশগুপ্ত তাকে প্রথমে ফোন করে হুমকি দেয় এবং পুরনো কর্মচারীদের কে নিয়োগের দাবি জানান। এবং না হলে পেট্রোল পাম্প বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। তারপরই গতকাল দুপুরবেলা এসে পেট্রলপাম্পে পুরনো কর্মচারীরা এবং ওই নেত্রী তারা ঝামেলার সৃষ্টি করেন তাদেরকে আটকাতে গেলেই ম্যানেজার এবং মালিকের উপর তারা চড়া আহবান ম্যানেজারকে মারধর করা হয় মালিককে চড় মারা হয় এমনটাই অভিযোগ করাচ্ছি ইতিমধ্যে সিসিটিভি ফুটেছে ধরা পড়েছে সেই ছবি। অভিযোগ সেই সময় পুলিশ আধিকারিকরা উপস্থিত থাকলেও কোনো রকম ব্যবস্থা তারা নেননি। ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হলে উল্টে তারা বলেন থানায় অভিযোগ করলে তবেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযোগ করা হলেও এখনো পর্যন্ত কোনো রিসিভ কপি তাদেরকে দেওয়া হয়নি এমনটাই জানাচ্ছেন পেট্রোল পাম্পের মালিক। সব মিলিয়ে ইতি মধ্যেই আতঙ্ক রয়েছেন তারা প্রান সংশয়ের আশঙ্কা করছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *