দক্ষিণ চন্ডীপুরে বাঁধ ভেঙে পুনরায় বন্যার শঙ্কায় গ্রামবাসী।

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা—মাত্র মাস দুয়েক আগেই ১ কোটি ৩৫লক্ষ টাকা বরাদ্দে তৈরি হয়েছিল বাঁধ।সেই বাঁধ ভেঙে গেল ফুলহরের প্রবল জলের তোড়ে। বুধবার সাত সকালে এমনই বাঁধ ভেঙে হু হু করে সংরক্ষিত এলাকায় জল ঢোকার ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়াল মালদার মানিকচক ব্লকের ভূতনীর দক্ষিণ চন্ডীপুর এলাকায়। গত বছরের মতো এবারও তৈরি হল বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা। যা নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিলেন গ্রামবাসীরা। উল্লেখ্য, গত বছর ভূতনীর দক্ষিণ চন্ডীপুরে বাঁধ কেটে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। দুদফার বন্যায় প্রায় মাস দুয়েক গোটা ভূতনী এলাকা প্লাবিত হয়ে থাকে। এরপর শুখা মরশুমে মালদা জেলা সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে ভূতনীর দক্ষিণ চন্ডীপুরের কাঁটাবাঁধের জায়গায় ১কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দে নতুন করে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু দিন কয়েক আগেই সেই বাঁধ চুঁইয়ে বাঁধের নিচ দিয়ে একটু একটু করে ভূতনীর সংরক্ষিত এলাকার দিকে ফুলহরের জল ঢোকার দৃশ্য নজরে আসে। যদিও সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে বালির বস্তা ফেলে সেই জল আটকানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তা কাজে আসলো না।বুধবার ভোরের দিকে হঠাৎ করেই ফুলহরের প্রবল জলের তোড়ে ভূতনীর দক্ষিণ চন্ডীপুরের নব নির্মিত বাঁধ ভেঙে যায়। ফলে ফুলহরের জল প্রবল গতিতে হু হু করে ভূতনীর সংরক্ষিত এলাকার দিকে ঢুকতে শুরু করে। এই জল দক্ষিণ চন্ডীপুরের বিভিন্ন নিচু এলাকা হয়ে আগামীতে ভূতনীর উত্তর চন্ডীপুর এবং হীরানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা ভাসিয়ে দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্বভাবতই এবছর ফের নতুন করে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা তৈরি হল ভূতনীতে। যা নিয়ে একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করলেন দক্ষিণ চন্ডীপুরের বাসীন্দাদের একাংশ। গোটা ঘটনায় শাসক দল তৃণমূলকে দায়ি করেন বিজেপি নেতৃত্ব ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *