মুর্শিদাবাদ, নিজস্ব সংবাদদাতা:- জমি সমস্যা মেটাতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়াই অপরাধ। কেস তুলতে চাপ দিয়ে এক স্বর্ন ব্যবসায়ীকে রাতের অন্ধকারে মারধর করে পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ। সম্প্রতি ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ থানার ধুলিয়ান পৌর এলাকার ছয় নম্বর ওয়ার্ডের নতুন ঠাকুরপাড়া এলাকায়। বিষয়টি নিয়ে সামসেরগঞ্জ থানায় FIR করেছেন স্বর্ন ব্যবসায়ী অমিত কর্মকার। অভিযোগের তীর উঠেছে প্রতিবেশী বাসিন্দা অতনু সাহা সহ আরো বেশ কয়েকজন বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে। সোমবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে স্বর্ন ব্যবসায়ী অমিত কর্মকার দাবি করছেন, দীর্ঘদিন ধরেই নিজস্ব বাড়িতে বসবাস করছেন তারা। বাড়িতে বাবা মা, স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বসবাস সমস্যা হওয়ায় ছাদে ঘর তৈরি করছিলেন। কিন্তু তাতেই ক্যানটিলেভার বাড়াতে গিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করেন প্রতিবেশী চিত্তরঞ্জন দাসের পরিবার। সঙ্গ দেন প্রতিবেশী অতনু সাহা সহ আরো কয়েকজন। ২০২৩ সাল থেকে বিষয়টি নিয়ে বারংবার ধুলিয়ান পৌরসভা, সামসেরগঞ্জ থানা, ব্লক ভূমি সংস্কার দপ্তর অফিস, জঙ্গিপুর মহুকুমার অফিসে গিয়ে অভিযোগ জানালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ভিটেমাটির হাফ কাঠা জমি নিয়ে বিবাদ। পৌরসভা থেকে শুরু করে লোকাল প্রশাসন বারবার লিখিত অভিযোগ করেও কাজ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে কলকাতা হাইকোর্টে কেস করেন অমিত স্বর্ণকার। কিন্তু অভিযোগ সেই কেস করার পরেই তার ওপর আক্রমণ করা হয়। গত ১৭ আগষ্ট ২০২৫ সালে বিধান সরণিতে থাকা তার নিজস্ব সোনার দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে জল ট্যাঙ্কির কাছে হঠাৎই কয়েকজন দুষ্কৃতি তাকে ঘিরে ফেলে। এবং ব্যাপক হারে মারধর করে বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত হয়ে প্রথমে অনুপনগর হাসপাতাল ও পরে জঙ্গিপুর নিয়ে যাওয়া হয় অমিত কর্মকারকে। মারের চোটে পা ভেঙে যায় তার। জখম হয় শরীরের অন্যান্য অংশও। ফলে এই মুহূর্তে বাড়িতেই ভাঙ্গা পা নিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে তাকে। বিষয়টি নিয়ে ফের একবার সামসেরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন অমিত কর্মকারের পরিবার। হাইকোর্ট থেকে কেস তোলার জন্য বারবার চাপ দিতে এবং হিয়ারিং এ অনুপস্থিত করতেই তার উপর আক্রমণ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন অমিত কর্মকার। এদিকে মারধরের ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টিতে সরাসরি অতনু সাহা, তার বাবা এবং আরো বেশকয়েকজন সাঙ্গপাঙ্গদের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি। অভিযোগ করতেই প্রতিক্রিয়া নেওয়ার জন্য আমরা ফোন করেছিলাম প্রতিবেশী শিক্ষক অতনু সাহাকে। তিনি স্পস্ট জানান, আমার সঙ্গে জমির কোনো বিবাদ নেই, পাশাপশি বাড়ির সঙ্গে বিবাদ। যদিও ভিডিও কিংবা অডিও বক্তব্য নেওয়ার আমরা তাকে বললেও তিনি ব্যস্ত আছি পরে যোগাযোগ করছি বলে ফোন কেটে দেন। অন্যদিকে স্থানীয় কয়েকজন নেতাকে নিয়ে প্রভাব খাটিয়ে তার জমি সমস্যা জিইয়ে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহণের আরজি জানান অমিত কর্মকার। যারা মেরে প্যা ভেঙেছে তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন ধুলিয়ান পৌর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও।
প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষোভ, দুষ্কৃতীদের শাস্তির দাবি ধুলিয়ান স্বর্ণ ব্যবসায়ীর পরিবারের।

Leave a Reply