নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- বিশ্বকর্মা পূজো উপলক্ষে ঘুড়ির লড়াই ছিল দেখার মতো আজ সে সব অতীত। বিগত একবছর আগে আকাশে দেখা যেত ঘুড়ির লড়াই। নদীয়া রানাঘাট, শান্তিপুর , বীরনগরে হতো ঘুড়ির লড়াই নদীয়া ও তার পার্শববর্তী অঞ্চলে বিশ্বকর্মা পূজো উপলক্ষে নানা জায়গায় ঘুড়ি ওড়ানো নিয়ে কচিকাঁচারা ঘুড়ি নিয়ে এই ছাদ থেকে অন্য ছাদে ঘুড়ি নিয়ে প্রতিযোগিতায় নামতো আজ সে সব ভাটা পড়েছে। বর্তমান প্রজন্ম মোবাইলে বুদে জর্জরিত ফলে নীল আকাশে ঘুড়ির যুদ্ধ এই বছর ভাটা পড়েছে। ঘুড়ি ব্যাবসায়ী দের মধ্যে আফসোস এখন কার প্রজন্ম আর ঘুড়ি ওড়ানোর দিকে ফিরে থাকায় না। মোবাইলে বেড়া জালে আবদ্ধ। পেটকাটা, শতরঞ্জি, ময়ূরপঙ্খী বিভিন্ন ধরনের ঘুড়ি আজ অস্তমিত। ৫০বছর ধরে ঘুড়ির ব্যাবসায়ী সঙ্গে যুক্ত দিলীপ কুমার ঘোষ আজ তাদের ব্যাবসা তলানিতে ঠেকেছে এর কারণ অবশ্যই মোবাইল। বর্তমান প্রজন্ম মোবাইলে এতটাই আসক্তি হয়ে পড়েছে যে ঘুড়ি ওড়ানোর আনন্দ ভুলে গেছে। ফলে ঘুড়ি ওড়ানোর নেশা ভোকাট্টা আওয়াজ আজ অস্তমিত। বিশ্বকর্মা পূজো উপলক্ষে যে ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতা কিংবা ঘুড়ি, মঞ্জা সুতো কেনার প্রবণতা আজ আর নেই। ফলে ধ্বংসের মুখে ঘুড়ি শিল্প মনে করেন ঘুড়ি বিক্রেতা শিখা দাস। রাজ্যে যেমন বিশ্বকর্মা পূজো উপলক্ষে কলকারখানায় পুজোর ও আনন্দের একটা পরিবেশ থাকতো আজ যেমন অস্তমিত তেমনই বিশ্বকর্মা পূজো উপলক্ষে ঘুড়ি ওড়ানোর নেশা ও আগ্রহ অস্তমিত বর্তমানে। ফলে রঙিন ঘুড়ির মতো নীল আকাশে ওড়ো দেখা গেল না সে ভাবে। ঘুড়ির প্রতি মানুষের টান বেশি ছিল ফলে বিভিন্ন সিনেমায় ঘুড়ি নিয়ে নানা গান নানা ধরনের ছবি আজ তাই অতীত।