নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অন্তর্গত ৩২ ব্যাটালিয়নের সীমান্ত চৌকি নদিয়ার ভীমপুর থানা এলাকার অন্তর্গত হোরান্দিপুরের সতর্ক বিএসএফ জওয়ানরা একটি বিশাল সাফল্য অর্জন করেছে । সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে সৈন্যরাবিএসএফ জওয়ানরা তাদের দায়িত্বের এলাকা থেকে ১৬টি স্বর্ণের বার ও ০৪টি স্বর্ণের বিস্কুটসহ এক চোরাকারবারীকে আটক করেছে । জব্দ করা সোনার ওজন আনুমানিক ১০ কেজি.৭৩৭ গ্রাম। আনুমানিক মূল্য ৬,৬৯,৪৬,৫০৪/- কোটি টাকা। চোরাকারবারিরা যখন এসব সোনার বার বাংলাদেশ থেকে ভারতে আনার চেষ্টা করছিল।
তথ্য অনুযায়ী,৩২ ব্যাটালিয়নের সীমান্ত চৌকি হোরান্দিপুরের সৈন্যরা সুনির্দিষ্ট খবর পেয়েছিলেন যে তাদের এলাকায় সোনার বিশাল চোরাচালান ঘটতে চলেছে। তথ্য পাওয়ার সাথে সাথে কমান্ডারের নেতৃত্বে সৈন্যদের দুটি দল সন্দেহজনক এলাকায় একটি অতর্কিত হামলা চালায়। সৈন্যরা দুই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গোপনে ভুট্টা ক্ষেতে আসতে দেখে, তারা কাছাকাছি আসলে সৈন্যরা তাদের থামাতে দৌড়ে যায় কিন্তু একজন পালিয়ে যায় এবং অন্যজনকে ধরা হয়। সৈন্যরা ধৃত ব্যক্তিকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি করে। তল্লাশিকালে ওই ব্যক্তির কোমরে বাঁধা কাপড়ের বেল্টের ভেতর থেকে ১৬টি সোনার বার ও ৪টি বিস্কুট পাওয়া যায়। সৈন্যরা স্বর্ণসহ ওই ব্যক্তিকে আটক করে। ধৃত পাচারকারীর পরিচয় ইমাদুল বিশ্বাস, পিতার নাম খালেক বিশ্বাস।
জিজ্ঞাসাবাদে চোরাকারবারী জানায়, সে ও তার সহযোগী রাজু মন্ডল (যিনি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়) বাংলাদেশের বোজতলা গ্রামের বাসিন্দা আলমগীরের কাছ থেকে এসব মালামাল নিয়ে মালুয়াপাড়ার বাসিন্দা প্রসানজিৎ বিশ্বাসকে দিতে যাচ্ছিল। কিন্তু পথে বিএসএফ জওয়ানরা তাকে ধরে ফেলে।