নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা—প্রায় ৩০০ বছরের অধিক ঐতিহাসিক বিষহরি ঠাকুরানী মায়ের পুজো ও মেলা জমে উঠেছে মালদহের গাজোলে আলাল অঞ্চলের ময়না এলাকায়।হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ এই পুজোতে অংশগ্রহণ করে বিষহরি মায়ের মন্দিরে ভোগ দেয় উভয় সম্প্রদায় মানুষ। এখানে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ আসেন এবং বাংলাদেশ থেকেও অনেক ভক্তরা আসেন এবং বিষহরি মায়ের মূর্তি দান করে থাকেন ।এ বছর একই মন্দিরে ৩৫০ প্রতিমা পূজিত হচ্ছেন একসাথে।পুজোর উপলক্ষে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী ।এই পূজা কমিটির তরফে জানানো হয় এ পুজো কবে থেকে শুরু হয়েছে আমরা সঠিকভাবে বলতে পারছি না
। আমাদের আনুমানিক ধারণা প্রায় ৫০০ বছরের বেশি পুরনো এই পুজো।জমিদার আমোলে এই পুজো চুরু হয় এর পরে বাবা ঠাকুরদা এই পুজো করে আসছেন বাবার পর আমরা এই পুজো দায়িত্ব নিয়েছি তবে বাবা ঠাকুরদারদের মুখে শুনেছি জমিদার শশীভূষণ সরকার এই পুজো শুরু করেছিলেন।জমিদারি চলে যাওয়ার পরে আমার বাপ ঠাকুর দাদারা এই পূজা শুরু করেন। বর্তমানে আমরা এই পুজো করছি আশ্বিন মাসের ২৭ তারিখ থেকে এখানে ঘট বসে পাঁচদিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। কার্তিক মাসে ২ তারিখে এখানে পাঠা বলি অনুষ্ঠিত হয়। বিষহরি ঠাকুরানী মায়ের গান ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়। পশ্চিমবঙ্গ সহ ভিন্ন রাজ্য সহ বাংলাদেশ থেকেও ভক্তরা এসে এখানে প্রতিমা দান করেছেন। তাদের মনের আশা পূর্ণ হয়েছে তাই তারা প্রতিমা দান করেছেন। এছাড়াও এখানে এ পুজোর প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয় হাজার ভক্ত মায়ের পুজো দেন। পুজোর দেওয়ার জন্য মহিলাদের লম্বা লাইন পড়ে যায়। এই মায়ের মন্দিরে হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ আসেন মিলন মেলায় পরিণত হয়।