দীর্ঘ পুজোর ছুটি কাটালেও রেস কাটেনি শিক্ষকদের, সর্বক্ষণ মোবাইলে ব্যস্ত থাকার কারণে দুই শিক্ষককে আটকে রেখে বিদ্যালয়ের দরজায় তালা মেরে বিক্ষোভ অভিভাবকদের।

0
151

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- দীর্ঘ পুজোর ছুটি কাটালেও রেস কাটেনি শিক্ষকদের, সর্বক্ষণ মোবাইলে ব্যস্ত থাকার কারণে দুই শিক্ষককে আটকে রেখে বিদ্যালয়ের দরজায় তালা মেরে বিক্ষোভ অভিভাবকদের। যদিও এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নদীয়ার শান্তিপুর বাবলা পঞ্চায়েতের প্রমোদনগর গোবিন্দপুর প্রথম দাস গুপ্ত স্মৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। একাধিক অভিভাবকদের অভিযোগ, এই প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩ জন শিক্ষা কর্মী রয়েছেন, তারা অনিয়মিতভাবে স্কুলে আসেন। স্কুলে হয় না রীতিমতো প্রার্থনা, মিড ডে মিলে দেওয়া হয় আলু সেদ্ধ ভাত, এবং ডাল। পুষ্টিকর খাবার শিশুদেরকে দেওয়া হয় না। যদিও আরোও বিস্ফোরক অভিযোগ তুলছেন অভিভাবকরা। তাদের অভিযোগ, স্কুলের শিক্ষকরা ছোট ছোট বাচ্চাদের দিয়ে ক্লাস না করিয়ে শিক্ষকদের গা-হাত পা টেপানো, মাথার উকুন বাঁচানোর মতো কাজ করানো হয়, এবং স্কুলে একটি ঘরের মধ্যে চলে ক্লাস ওয়ান থেকে ফোর পর্যন্ত ক্লাস। ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে স্কুল পরিষ্কার করানো হয় প্রতিনিয়ত, এই সমস্ত অভিযোগ তুলে আজ স্কুলে শিক্ষকরা এলে তাদেরকে তালা বন্ধ করে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে এলাকাবাসী সহ অভিভাবকরা। তৎক্ষণাৎ এলাকায় ছুটে আসে প্রধান শিক্ষিকার সন্তান এবং এসে এলাকাবাসীকে রীতিমতো হুমকি দেখাতে শুরু করে, পরবর্তীতে এলাকাবাসী গর্জে উঠলে স্কুল চত্বর ছেলে পালিয়ে যায় প্রধান শিক্ষিকার ছেলে। তবে স্কুলের পরিকাঠামোর অভাব স্বীকার করে নিয়েছেন স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক সহ এলাকার জনপ্রতিনিধি। এই এলাকার পঞ্চায়েত মেম্বারও স্বীকার করেছেন স্কুলের এই অচলাবস্থার কথা। যদিও পরবর্তীতে শান্তিপুর থানার পুলিশ স্কুল চত্বরে উপস্থিত হলে পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেন এলাকাবাসী। এখানে শান্তিপুরের গোবিন্দপুর এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এরকম অচলাবস্থার চিত্র সত্যি ভাবাচ্ছে শিক্ষার অগ্রগতিকে। তবে অভিভাবকসহ এলাকাবাসীর তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কৃষ্ণা দত্ত ফোনের কথোপকথনে জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তার বিদ্যালয়ে প্রতিদিনই নিয়মিত পঠন পাঠন হয়। বিদ্যালয়ে ৬১ জন ছাত্রছাত্রীই প্রতিদিনের মিড ডে মিলের খাবার পায়। তবে সব দিন পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয় না বলে জানিয়েছেন শিক্ষিকা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here