হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন একজন ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অভিনেতা। অতিব পরিচিত একজন মুখ তিনি। ১৯৪৮ সালে অতনু ব্যানার্জির দেবদূত চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। সত্যজিৎ রায় পরিচালিত বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেন তিনি
হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন একজন ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন অভিনেতা। ১৯৪৮ সালে অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেবদূত দিয়ে চলচ্চিত্রে তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটে। তিনি সত্যজিত্ রায়ের পরিচালিত একাধিক ছবিতে অভিনয় করেন। আজ তাঁর জন্মদিন। এই বিশেষ দিনে জেনে নেবো তাঁর সম্পর্কে কিছু কথা।
প্রারম্ভিক জীবন—-
অবিভক্ত বাংলার তৎকালীন কুষ্টিয়া মহকুমায় মিলপাড়াই ১৯২৬ সালের ৬ই নভেম্বর হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন। ম্যাট্রিক পাস করেন ১৯৪৪ সালে৷ আই-এ-তে ভর্তি হন কলকাতার সিটি কলেজে৷ স্নাতক হওয়ার পর চাকরিজীবনের শুরু গান অ্যান্ড শেল কোম্পানিতে৷ ১৯৪৬-এ যোগ দেন বিমা সংস্থায়৷ সেখান থেকেই অবসর নেন৷
অভিনয় জীবন—
প্রথম অভিনয় ১৯৪৮ সালে অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেবদূত ছবিতে৷ অভিনয় করেছেন হিন্দি সিনেমাতেও। সত্যজিৎ রায়ের কাপুরুষ, মহানগর, সোনার কেল্লা, জয় বাবা ফেলুনাথ প্রভৃতি ছবিতে অভিনয় করেন। হিন্দি ভাষার ‘পরিনীতা’ হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা।৷ তিনি টেলিভিশন ও মঞ্চ নাটকেও অভিনয় করেছেন।২০০৫ সালে ক্রান্তিকাল সিনেমায় অভিনয়ের সুবাদে সহ-অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্রে ভারতের জাতীয় পুরস্কার পান তিনি। ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার তাকে বঙ্গবিভূষণ সম্মানে ভূষিত করে।
পুরস্কার—-
উল্টো রথ ম্যাগাজিন কর্তৃক শ্রেষ্ঠ স্টেজ শিল্পী পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ সহভিনেতার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত), কলাকার পুরস্কার এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার কর্তৃক বঙ্গবিভূষণ সম্মানে ভূষিত হন।
মৃত্যু—-
তিনি কিছুদিন নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন। ২০১৩ সালের ৫ জানুয়ারি কলকাতার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।