তমলুকে জেলাশাসকের দপ্তরে পালিত হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

0
80

তমলুক, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির চির প্রেরণা ও অবিস্মরণীয় একটি দিন। এটি শুধু বাংলাদেশের নয়, এখন এটি সারা বিশ্বের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছ।
জাতির জীবনে শোকাবহ, গৌরবোজ্জ্বল, অহংকারে মহিমান্বিত চিরভাস্বর এই দিনটি। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ছিল ঔপনিবেশিক প্রভুত্ব ও শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম প্রতিরোধ এবং জাতীয় চেতনার প্রথম উন্মেষ।
সেদিন মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রাখতে গিয়ে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল রফিক, জব্বার, সালাম, বরকত ও সফিউররা। পৃথিবীর ইতিহাসে মাতৃভাষার জন্য রাজপথে বুকের রক্ত ঢেলে দেয়ার প্রথম নজির এটি। সেদিন তাদের রক্তের বিনিময়ে শৃঙ্খলযুক্ত হয়েছিল দুঃখিনী বর্ণমালা ও মায়ের ভাষা। আর এর মাধ্যমে বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশের যে সংগ্রামের সূচনা হয়েছিল তা মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় পথ বয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে।একুশে ফেব্রুয়ারি তাই বাঙালির কাছে চির প্রেরণার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। একুশের প্রথম প্রহর থেকেই জাতি কৃতজ্ঞ চিত্তে ভাষা শহীদদের স্মরণ করে। হৃদয়ের সবটুকু আবেগ ঢেলে দিয়ে সবার কণ্ঠে বাজে একুশের অমর শোকসঙ্গীত –
“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি”

প্রতি বছরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি আমাদের রাজ্যে মর্যাদার সাথে পালিত হয়ে থাকে। স্কুল,কলেজের পাশাপাশি সরকারিভাবে এইদিনটি যেমন পালন করা হয় তেমনি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তারাও এই দিনটি পালন করে থাকে।
এদিন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন ও জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের উদ্যোগে তমলুকে জেলাশাসকের দপ্তরে পালিত হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক তানবীর আফজল অতিরিক্ত জেলাশাসক সৌভিক চট্টোপাধ্যায় , অনির্বাণ কোলে, তাম্রলিপ্ত পুরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র নারায়ন রায় সহ অন্যান্যরা। পাশাপাশি এদিন হলদিয়া পৌরসভা, মহিষাদল গার্লস কলেজ, মহিষাদল শিল্পকৃতি নাট্য সংস্থার উদ্যোগে মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়। পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন ও নাচ, গান ও আবৃত্তির মধ্যদিয়ে দিনটি পালন করা হয়। স্কুল কলেজে পড়ুয়াদের দিনটি সম্পর্কে আলোকপাত করে শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে শুভানুধ্যায়ীরা।।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here