দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারি ব্লকের কল্যাণী সংসদে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। বাংলা আবাস যোজনার তালিকাভুক্ত গরিব পরিবারের বাড়ি সরেজমিনে তদন্ত করতে গিয়ে, সরকারি নির্দেশে নিয়োজিত পশু চিকিৎসক মিতম কুমার হালদারের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, এই চিকিৎসক বিডিও অফিসের নাম করে গ্রামের সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে জোর করে অর্থ আদায় করছেন।
জানা গেছে, ব্লক প্রশাসন বাংলা আবাস যোজনার উপভোক্তাদের বাড়ি পরিদর্শনের জন্য বিভিন্ন সরকারি কর্মচারীকে মাঠে নামিয়েছে। সেই নির্দেশে দৌলতপুর পশু চিকিৎসা কেন্দ্রের চিকিৎসক মিতম কুমার হালদারকে কল্যাণী সংসদ এলাকায় প্রাপকদের বাড়ি পরিদর্শনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, তদন্তে গিয়ে তিনি কারও কাছ থেকে বাইকের তেলের নাম করে, আবার কারও কাছ থেকে দুপুরের খাবারের নাম করে হাজার, কখনও দুই হাজার টাকা আদায় করেছেন।
এই ঘটনায় বিতর্ক আরও বেড়ে যায়, যখন মিতম কুমার হালদারের একটি স্বীকারোক্তি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। ভিডিওটিতে তাকে বিডিও অফিসের নির্দেশে টাকার জন্য উপভোক্তাদের কাছে অনুরোধের কথা বলতে শোনা যায়। তবে, এ প্রসঙ্গে তার সাফাই, তিনি কাউকে চাপ দিয়ে টাকা চাননি, শুধু বিডিও অফিসের নির্দেশে অনুরোধ করেছেন।
তবুও প্রশ্ন উঠেছে, সরকারি দায়িত্বে থেকে কেন কোনো কর্মচারী টাকা আদায়ের অনুরোধ করবেন, বিশেষত সরকারি আবাস যোজনার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের পরিদর্শনের সময়? কল্যাণী সংসদের বাসিন্দারা বিষয়টি নিয়ে সরব হন এবং বিডিও ও মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। গ্রামবাসীদের দাবি, অভিযুক্ত পশু চিকিৎসককে সাসপেন্ড করতে হবে।
ঘটনার পরও প্রশাসনের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গ্রামবাসীরা। তাদের অভিযোগ, একজন সরকারি কর্মচারী বিডিও অফিসের নাম করে এভাবে তোলাবাজি করলেও কেন প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না? অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানিয়ে গোটা দক্ষিণ দিনাজপুর জুড়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।