পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- “প্লাস্টিক করো বর্জন, সুস্বাস্থ্য হোক অর্জন” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন ক্লিন দিঘা, গ্রিন দিঘা গড়ার লক্ষ্যে এক গুচ্ছ পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করা হয়। দিঘা,শংকরপুর কর্তৃপক্ষের দফতরে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিঘাকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার একাধিক পরিকল্পনার শুভ সূচনা ঘটানো হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক, রামনগর-১ ব্লকের বিডিও পুজা দেবনাথ, পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি নিতাই শার সহ অন্যান্যরা। যত্রতত্র প্লাস্টিক ও নোংরা আবর্জনা ফেলালে প্রকৃতির উপর কি প্রভাব পড়ে তা এদিন স্কিনে তথ্যচিত্রে মধ্যদিয়ে তুলে ধরা হয়। দিঘাকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে একাধিক পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়। সেগুলি বাস্তাব রুপায়নের কাজ শুরু হয়।সুমধুর গানের সুরে এবার পরিচ্ছন্নতার বার্তা। গানে গানে অলিগলি পরিচ্ছন্ন রাখার অঙ্গীকার দিঘা- শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের। হুইসেল নয় বরং মনোগ্রাহী গানের সুরে আবর্জনা সংগ্রহ ও পরিচ্ছন্নতার বার্তা নিয়ে এবার সৈকত শহরের অলি- গলিতে পৌঁছে যাচ্ছে পর্ষদ ভ্যান। আয় খুকু আয় গানের সুরে বাঁধা হয়েছে নতুন সচেতনতামূলক গান। গানের প্রতিটি লাইনে লাইনে রয়েছে পরিচ্ছন্নতার বার্তা। সকাল হলেই সৈকত শহরের হোটেলে হোটেলে পৌঁছে যাবে আবর্জনা সংগ্রহের ভ্যান। সেখানেই বাজানো হবে সচেতনতামূলক এই গান। যা থেকে হোটেল কর্তৃপক্ষ ও পর্যটক উভয়েই সচেতন হবে বলে মনে করছে ডিএসডিএ। ইতিমধ্যে গানে গানে এই আবর্জনা সংগ্রহের বিষয়ে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে সাধারণ মানুষের মধ্যেও। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়ায় নবজাগরণ ঘটেছে গোটা সৈকত শহর দিঘায়। পর্যটকদেরও জোয়ার প্রায় প্রতিনিয়ত লেগেই থাকে। সৈকত শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখা এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রতিনিয়ত দেখা যায় হোটেল গুলির একাংশ যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখে। ফলে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় সৈকতে। তাই হোটেল কর্তৃপক্ষ এবং সাধারন মানুষ উভয়কে যাতে সচেতন এবং অঙ্গীকারবদ্ধ করা যায় সেই নিয়ে গান বাঁধা হয়েছে।
দিঘাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রেখে সবুজ দিঘা গড়ার অঙ্গীকার করা হয়েছে এই গানের মাধ্যমে। গানে গানে এই আবর্জনা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে পর্ষদের দশটি গাড়িতে বাজানো হচ্ছে এই গান। এছাড়াও সৈকত চত্বরে একাধিক ডিজিটাল বোর্ড লাগানো হয়েছে যেখানে ভিডিওর মাধ্যমে পরিবেশ দূষণের বিষয় নিয়ে সচেতন করা হচ্ছে সাধারণ মানুষ জনকে। এছাড়াও নোংরা আবর্জনা যত্রতত্র ফেললে এবং প্লাস্টিক বিক্রি করলে জরিমানার সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের। উন্নয়ন পর্ষদের তরফ থেকে প্রতিটি হোটেলে লাল এবং সবুজ দুটি করে ডাস্টবিন দেওয়া হয়। সেখানে বায়োডিগ্রেবল এবং নন- বায়োডিগ্রেবল আবর্জনা পৃথক করে ফেলতে হবে উন্নয়ন পর্ষদের আবর্জনার গাড়িতে।হোটেল গুলির পাশাপাশি দিঘার সমুদ্রতটেও রাখা হয়েছে বড় বড় সাইজে প্লাস্টিকের বালতি। সেখানেই নোংরা আবর্জনা ফেলানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি জানান, ” দিঘা ক্লান ও গ্রিন করা আমাদের সকলের কর্তব্য। তাই আমরা সকলের চেস্টায় দিঘাকে ক্লিন ও গ্রিন গড়ার জন্য একাধিক পরিকল্পার বাস্তবায়ন ঘটালাম। প্লাস্টিক করো বর্জন, সুস্বাস্থ্য হোক অর্জন এই শ্লোগানের মাধ্যমেই আমরা দিঘাকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার অঙ্গীকারবদ্ধ হব।”
Leave a Reply