দক্ষিণ-পূর্ব রেলের, খড়গপুর বিভাগের রেল প্রশাসনের বিভিন্ন অসুবিধা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন খড়্গপুর ডিভিশনের ডিআরএম কে আর চৌধুরী।

পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- দক্ষিণ-পূর্ব রেলের, খড়গপুর বিভাগের রেল প্রশাসন, অসামাজিক কার্যকলাপ এবং রেল সম্পত্তিতে জবরদখলের ক্রমবর্ধমান ঘটনার কারণে ক্রমশ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন খড়্গপুর ডিভিশনের ডিআরএম কে আর চৌধুরী। আজ বিকেলে তিনি খড়গপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সাংবাদিক বৈঠক করে এই অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, খড়্গপুর জংশন ভারতের একটি অন্যতম কৌশলগত জংশন এবং একটি প্রধান রেলওয়ে ওয়ার্কশপের আবাসস্থল। খড়গপুরে চুরি, ভাঙচুর, জনসাধারণের বিশৃঙ্খলা এবং রেল এলাকার দখল সম্পর্কিত ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যার সবকটিই রেলের কার্যক্রম ব্যাহত করছে এবং যাত্রী ও কর্মীদের নিরাপত্তাকে বিপন্ন করছে বলে তাঁর মত।
খড়গপুর রেলওয়ে স্টেশন, কলোনি, সাইডিং এলাকা এবং প্রশাসনিক অফিসের মতো গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে এলাকাগুলি বেআইনি কার্যকলাপের মুখ্য কেন্দ্র হিসাবে গজিয়ে উঠেছে। ডিআরএম শ্রী চৌধুরী আরও অভিযোগ করেন, রেলের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি রেলের কর্মীদের বাসস্থান থেকে চুরি এবং স্পষ্টতই সাংগঠনিক মদদ এবং রাজনৈতিক সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিদের দ্বারাই বিভিন্ন ঝামেলার অভিযোগ উঠেছে।
মালবাহী এবং যাত্রী পরিবহন কেন্দ্র হিসেবে খড়গপুরের গুরুত্ব সম্প্রসারণ, আবাসন এবং পরিচালনার সুরক্ষার জন্য পরিষ্কার, ভারমুক্ত জমির প্রয়োজন। ভারতীয় রেল আইন জনসাধারণের সম্পদ রক্ষা করার এবং জাতীয় স্বার্থে নিরবচ্ছিন্ন উন্নয়ন নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে।
ভারতীয় রেল জাতির সম্পত্তি, এবং ভারতীয় রেল নাগরিকদের জাতির সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছ। রেলের সম্পত্তির ক্ষতি বা রেলের কার্যক্রম ব্যাহত করার মতো কোনও বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত না হন সেই জন্যও অধিবাসীদের অবেদন জানিয়েছেন।