DRM বাংলো ঘেরাও-কে কেন্দ্র করে উত্তেজনা খড়গপুরে, কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে।

পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা বস্তি উচ্ছেদ সংগ্রাম কমিটির ডিআরএম বাংলো ঘেরাও অভিযানকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর শহরের রেল এলাকা হিসেবে পরিচিত ২৭নং ওয়ার্ডের সাউথ সাইড। উপস্থিত আরপিএফ এবং আরপিএসএফ -র বিশাল বাহিনী। লাঠিসোটা, কাঁদানে গ্যাস নিয়ে প্রস্তুত তাঁরা। যদিও দেখা নেই রাজ্য পুলিশ তথা খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশের! অন্যদিকে, ডিআরএম বাংলোর দুই প্রান্তেই করা হয়েছে ব্যারিকেড। বড় বড় টিন দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে ডিআরএম বাংলো যাওয়ার দুই প্রান্তের রাস্তাই। ব্যারিকেডের বাইরে অর্থাৎ রেলের অফিসার্স ক্লাবের বাইরে অবস্থানে বসেছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। আছেন প্রদীপ সরকার, দেবাশীষ চৌধুরী, হেমা চৌবে সহ তৃণমূলের একাধিক কাউন্সিলর ও নেতানেত্রীরা। এর মধ্যেই ডিআরএম-এর গাড়ি বেরোনোর সময় দেখা দেয় উত্তেজনা। গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করেন তৃণমূল কর্মীরা। আরপিএফ তাদের সরিতে গেলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পড়ে গিয়ে সামান্য চোট পান তৃণমূল নেত্রী হেমা চৌবে এবং যুব নেতা অসিত পাল। এই নিয়ে উত্তেজনা থাকলেও, এখনও অবধি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আরপিএফ-র তৎপরতায় ডিআরএম- এর গাড়িও অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। উল্লেখ্য যে এর আগে, গত ৩১ মে, অফিসার্স ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় একটি দীর্ঘদিনের রাস্তার উপর রেলের তৈরি পাঁচিল ভাঙাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল।আরপিএফ-র সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে পড়ে গিয়ে আহত হন তৃণমূলের যুবনেতা অসিত পাল। পরে তাঁকে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যদিও, তৃণমূলের দাবি আরপিএফ লাঠিচার্জ করেছে। এই বিষয়ে বিবৃতি দিয়ে মেদিনীপুরের সাংসদ তথা তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদিকা জুন মালিয়া বলেন, “খড়্গপুর বস্তি বাঁচাও সংগ্রাম কমিটির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আরপিএফ নির্বিচারে লাঠিচার্জ করেছে। আমাদের যুব নেতা অসিত পাল গুরুতর আহত হয়েছেন। ধিক্কার জানাই।”