তারকেশ্বর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- হাইকোর্টের অর্ডার দেওয়া সত্ত্বেও তেঘরী রক্ষা কালীমাতা সেবায়েত ট্রাস্ট কে বাৎসরিক পূজার প্রস্তুতিতে বাধা।
হাই কোর্টের অর্ডারে তেঘরী শ্রী শ্রী রক্ষা কালী মাতার বাৎসরিক পূজা করার অধিকার পেয়েছিল হালদার পরিবার।
তারকেশ্বরের তেঘরী গ্রামের হালদার পরিবার সূত্রে জানা গেছে গ্রামের শ্রী শ্রী রক্ষা কালী মাতার বাৎসরিক পূজা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৬ই জ্যৈষ্ঠ ৩১ সে মে শনিবার
আরো জানা গেছে ওই গ্রামের জনা দশেক ব্যক্তি শ্রী শ্রী রক্ষা কালি মাতার মন্দির বেআইনি ভাবে জোর পূর্বক নিজেদের দখলে রেখে বেশ কয়েক বছর ধরে নিত্য পূজা এবং বাৎসরিক পূজার আয়োজন করেছিলেন গ্রামের মানুষ কে ভুল বুঝিয়ে।বিগত কয়েক বছর ধরে হালদার পরিবার উত্তরাধিকার সূত্রে মায়ের নিত্য পূজা এবং বাৎসরিক পূজার অধিকার ফিরে পেতে প্রথমে নিম্ন আদালত ও পরে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন।বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সমস্ত নথি খতিয়ে দেখে হালদার পরিবার অর্থাৎ সেবায়েত ট্রাস্ট কেই দায়িত্ব দেন বাৎসরিক পূজা করার ।পাশাপাশি বাৎসরিক পূজা হালদার পরিবার যাতে নির্বিঘ্নে আয়োজন করতে পারে তার জন্য হুগলি গ্রামীণ পুলিশ কে কড়া নজরদারি রাখারও অর্ডার দেন এবং যারা এতদিন জোর পূর্বক মায়ের মন্দির দখলে রেখেছিল তারা যাতে কোনো মতেই হালদার পরিবার কে পূজা করতে বাঁধা দিতে না পারে তার জন্য পুলিশ কে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ।তাই নিয়মমাফিক ৩০শে মে অর্থাৎ আজ জোরদার ভাবে বাৎসরিক পূজার তৈয়ারীর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সেবায়েত ট্রাস্ট। সেবায়েত ট্রাস্টের অভিযোগ বার্ষিক পুজোর যে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দিয়েছিলাম প্রতিমা মূর্তি প্যান্ডেল লাইট ইত্যাদি তাদের প্রত্যেককেই প্রভাবশালীর ব্যক্তির দ্বারা হুমকি দিয়ে তাদের আসতে বারণ করে দেয়। এবং তারা সকলেই ভীত হয়েই সেবায়েত ট্রাস্টকে জানায় ।এবং মন্দির চত্বরে পুলিশের সামনেই প্যান্ডেল মাইক লাইট প্রস্তুতির লোকজনদেরকে হুমকি দেয় ফোনে। এরপর অসহায় হয়ে কি করবে বুঝে উঠতে পারছে না তেঘরী শ্রী শ্রী রক্ষা কালীমাতা সেবায়েত ট্রাস্ট। আদেও কি মহামান্য হাইকোর্টের রায়ে বাৎসরিক পূজা সম্পন্ন করতে পারবে তেঘরী, রক্ষা কালীমাতা সেবায়েত ট্রাস্ট।
তেঘরী রক্ষা কালীমাতা সেবায়েত ট্রাস্ট কে বাৎসরিক পূজার প্রস্তুতিতে বাধা।

Leave a Reply