নদীয়া শান্তিপুর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে গতকাল রাতে প্রায় সমস্ত রাস্তার পাশেই এবং জনবহুল এলাকা গুলিতে পড়লো পোস্টার।

0
69

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  শান্তিপুর শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য , নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর বনাম প্রাক্তন কাউন্সিলরের বিতর্ক।নদীয়া শান্তিপুর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে গতকাল রাতে প্রায় সমস্ত রাস্তার পাশেই এবং জনবহুল এলাকা গুলিতে পড়লো পোস্টার, কোনো কোনো জায়গায় সেই পোস্টার ছেঁড়া নিয়েও তৃণমূল সিপিআইএম কাজিয়া।
ওই ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা সিপিআইএম নেতৃত্ব সৌমেন মাহাতো অবশ্য এই পোস্টার মারার দায় স্বীকার করে নিয়ে বলেন, সম্পূর্ণ অপরিকল্পিত অবৈজ্ঞানিকভাবে কাউন্সিলর ঢালাই রাস্তা নির্মাণ করছেন, যার ফলে শুধু সরকারি কোষাগার ধ্বংস হচ্ছে তাই নয় আগামীতে জল বেরোতে না পারার কারণে ছেনি হাতুড়ি নিয়ে মানুষই ঢালাই রাস্তা কেটে দেবেন,যা নিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে। তবে মানুষের জ্বলন্ত এই সমস্যায় তারা ১১ নম্বর ওয়ার্ড সিপিআইএম কমিটির পক্ষ থেকে এই আন্দোলন গড়ে তুলেছেন যা নিয়ে আগামীতে আরো বৃহৎ আন্দোলনে পরিণত হবে। সৌমেন বাবুর অভিযোগ মানুষের সাথে আলোচনা না করেই , বহু মানুষকে সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত রেখে অপরিকল্পিত নিকাশি ব্যবস্থা বাদ দিয়েই ঢালাই রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে। পোস্টার দেখে কাউন্সিলর ঘনিষ্ঠরা ভয় পেয়ে পোস্টার ছিঁড়েছে ওই রাতেই। বর্তমান তৃণমূল কাউন্সিলর কিভাবে ভোট লুট করে জয়লাভ করেছিলেন তা মানুষের জানা।
তবে বর্তমান কাউন্সিলর স্নিগ্ধা ব্যানার্জি অবশ্য এতে আমল দিতে রাজি নন, তিনি বলেন অভিজ্ঞ সরকারি আধিকারিক এবং পড়াশোনা করে ইঞ্জিনিয়ার যে কাজ করছেন, তাতে শূন্য থেকে মহাশূন্যে পৌঁছানো সিপিআইএম ওই নেতৃত্ব নিজের ওয়ার্ড থেকে পরাজিত হয়েছেন। মানুষের রায়ে একমাত্র সবেধন লালমনি ওই ওয়ার্ড থেকে হারার ফলে শান্তিপুর পৌরসভায় তাদের কোন প্রতিনিধি নেই। সামনে সাংসদ নির্বাচনে নিজেদের প্রচারের আলোকে আনার কারণে এবং মানুষের কাছে ভেসে থাকার জন্য রাতের অন্ধকারে এই পোস্টার অথচ তার কথা অনুযায়ী মানুষের সমস্যা হলে তারা কিন্তু আমাকে এখনো পর্যন্ত লিখিত বা মৌখিকভাবেও জানাইনি সমস্যার কথা। এমনকি একই বুথে বাড়ি হওয়া সত্ত্বেও, জানায়নি কেউই। আসলে প্রায় 17 টি ঢালাই রাস্তা এবং তিনটি পিচ রাস্তা কোনোটি কাজ শুরু হয়েছে কোনটি বা আগামীতে শুরু হতে চলেছে এই সমস্ত উন্নয়ন দেখে এবং বিনামূল্যে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছানোর আনন্দে রয়েছে ওয়ার্ড বাসবাসী তাই তাদের কোন সমস্যা নেই, নেই প্রতিবাদও।
অন্যদিকে উন্নয়নে ব্যাঘাত দিয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে সিপিআইএম। কিন্তু তা সম্ভব নয়, গত পৌরসভা নির্বাচনে মানুষ যোগ্য জবাব দিয়ে দিয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here