সাইকেলে চেপে পুরীতে পুজো দিয়ে এলেন প্রশান্ত।

তমলুক, নিজস্ব সংবাদদাতা:-* একই দিনে আইপিএলের ফাইনাল ম্যাচ এবং বিশ্ব সাইকেল দিবস। আর এই দুইকে একই সূত্রে বাঁধলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের নিমতৌড়ির যুবক প্রশান্ত সামন্ত। ক্রিকেট এবং সাইকেল দুই হল প্রশান্তর ধ্যান- জ্ঞান। মঙ্গলবার দিনভর আইপিএলে বিরাট আবেগে বুঁদ ক্রীড়া প্রেমীরা। তিনবার ফাইনালে উঠেও আরসিবিকে ফিরতে হয়েছে খালি হাতে। এবার ফাইনালে আরসিবির মঙ্গল কামনায় সাইকেলে চেপে শ্রীক্ষেত্র পুরীধামে পুজো দিয়ে এলেন তমলুকের নিমতৌড়ির তরুণ যুবক প্রশান্ত সামন্ত। মঙ্গলবার সকাল থেকেই এই মহা ম্যাচকে কেন্দ্র করে প্রশান্তর চোখে মুখে চাপা উত্তেজনা। আরসিবির অন্যতম বিরাট কোহেলিকে ভগবান রূপে দেখেন প্রশান্ত। ১৭ বছর ধরে বিরাট আরসিবিতে খেলেছেন। তবে খেতাব জেতা হয়নি। তাই চলতি আইপিএল ম্যাচে স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে দুচোখের পাতা এক করতে পারেননি নিমতৌড়ির খড়িডাঙর গ্রামের বছর সাতাশের প্রশান্ত সামন্ত। আইপিএল শুরুর সময় থেকেই আরসিবির সাপোর্টার তিনি‌। গত মে মাসের ১১ তারিখ নিমতৌড়ির গ্রামের বাড়ি থেকে সাইকেলে বিরাট কোহলির ছবি দেওয়া পোস্টার ও জাতীয় পতাকা লাগিয়ে আরসিবির শুভ কামনা করে পুরীতে পুজো দিতে রওনা হয়েছিলেন প্রশান্ত। মাঝে ৩০ তারিখ দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের পর সেখানেও টিম বিরাটের জন্য প্রার্থনা করেছেন তিনি। পরে চন্দনেশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়েছেন প্রশান্ত।। ওড়িশার ভূষন্ডেশ্বর মন্দিরেও মঙ্গল কামনা করেন। এরপর সবশেষে পুরীর জগন্নাথ ধামে আরসিবির খেতাব জয়ের কামনা করে প্রভু জগন্নাথের কাছে প্রার্থনা জানান প্রশান্ত। মঙ্গলবার সকালেই সাইকেলে চেপেই বাড়ি ফিরেছেন তমলুকের আরসিবি পাগল এই যুবক। মঙ্গলবারও সকাল থেকে আরসিবির জন্য বাড়িতে প্রার্থনায় বসেছেন প্রশান্ত। সকাল সকাল স্নান সেরে নিমতৌড়ি কালীমন্দিরেও পুজো দিয়েছেন তিনি। এরপর সন্ধ্যায় পাড়ার সকলকে নিয়ে একসাথে ম্যাচ দেখার পরিকল্পনা তার। উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই ছিল বিশ্ব সাইকেল দিবস। আর সেই দিবসে এক অন্যতম দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন প্রশান্ত। প্রশান্ত পেশায় একজন ওয়েল্ডার মিস্ত্রি। ছোটোবেলায় স্কুলে পড়ার সময় থেকেই ক্রিকেট নিয়ে তুমুল আগ্রহ তার। আর সেই ক্রিকেটের গুরু হিসেবে মেনেছেন বিরাট কুহেলিকে। প্রশান্ত ক্রিকেট প্রেম নিয়ে তার বাবা বাসুদেব সামন্ত বলেন, “ছোট থেকেই ছেলে ক্রিকেট পাগল। বিরাট কোহলির ছবি দেখলে কিনে নিয়ে আসতো বাড়িতে।”

প্রশান্তর বক্তব্য, “ভগবানের কাছে আমার একটাই চাওয়া যেন ফাইনালে আরসিবি জিতে যায়। এছাড়া আর আমার কোনো চাওয়া- পাওয়া নেই। বিরাট কোহেলি আমার কাছে ক্রিকেটের গুরু। আমি চাই আরসিবি ট্রফি জিতুক।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *